দ্ব্যর্থক্রিয়া
শহীদুল ইসলাম
মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে
তোর সাথে সব বিতর্কের অবসান করে,
বিনম্রভদ্র আচরণ করি,সাধু হয়ে উঠি,
ঝগড়া কলহ রাগ অভিমান সহ
যাবতীয় সমস্ত কিছুর চিরকবর দিয়ে দেই।
ভালো হয়ে যাই, তোকে যেন আর না জ্বালাই।
খুব সাধারণ হয়ে যেতে ইচ্ছে করে।
একেবারে অচেনা অথবা সদ্য পরিচিতি পূর্বের মতো;
যে ভাবে আপনি সম্বোধন করতাম,
চুপচাপ বুঝেশুঝে স্বল্পভাষে পরিমিত উপাদেয় উত্তর দিতাম,
ছোট ছোট সারল্য সহজ সাধারণ প্রশ্নে,
জেনে নিতাম তোর ও তোর সব কিছুতে।
ইদানিং খুব বেশি অভদ্র কুরুচি জন্ম নিয়েছে। ভাষা অতিদীর্ঘ দাড়িকমা টানতে পারি না কিছুতেই।
বলা শুরু করলে অবিরাম বলতেই থাকি,
মুখে আটকে না কিছুই,যাচ্ছে তাই বলে ফেলি।
এমন বদভ্যাস যে নেশাতুরদের চেয়েও ভয়ংকর অস্বাভাবিক রূপ নিয়েছে।
এতটা তোর ‘তুই’ হয়ে ওঠা ঠিক হয়নি।
কিছুই ঠিকঠাক হয়ে উঠছে না।
কিছুতেই হয়ে উঠতে পারছি না ভদ্ররুচিশীল।
যা হচ্ছি তার সবটুকু বেহায়া।
সম্পর্কের একটা ধাপে গিয়ে নাকি
সব সাম্পর্কিকরা বেহায়া হয়, হয়ে ওঠে লজ্জা ছাড়া।
আমি আবার ফিরে যেতে উদ্বিগ্ন, আপনিতে।
আবার ফিরে যেত চাই প্রথমে।
অচেনা হয়ে যেতে চাই,হয়ে যেতে চাই সবকিছুতে নতুন।
প্রথম যেভাবে বলতাম,”কেমন আছেন? কি করেন?”
তেমন নতুন হয়ে যেতে চাই।
জানার আগ্রহ থাকবে বেশি, বলব সীমিত।
মাঝেমধ্যে ভাবি ‘এমন হলে কেমন হত?
আশ্চর্য হই এসব ভেবে!’
পরিনতি যদি এমনই হবে,
তাহলে গড়াতে গড়াতে এতদূর আসা
বন্ধুত্বের অর্থ রইল কি?