তুমি কে?
শহীদুল ইসলাম
গল্পটা ছিল কবিতার মতো।
কবিতাটা ছিল তোমার মতো।
তুমি ছিলে আকাশের মতো।
আকাশটা ছিল নির্মল
আমি সে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম।
আর চেয়ে চেয়ে দেখতাম।
আকাশটা অপূর্ব সুন্দর
সুন্দর আকাশে চাঁদের ঠোঁটে তিল
তারাদের মেলা, কৃষ্ণকেশে মেঘঢেকে, চোখ জুড়ে ঝর্ণার জল।
জলে জলে রামধনু রেখা এঁকে
তোমার মুখে শত পদ্ম গোলাপ ফোটে।
আচ্ছা
তুমি কি আকাশ ছিলে?
নাকী তুমি-ই আকাশ, আকাশটাই তুমি?
আমি
তোমার দিকে তাকাতে তাকাতে আকাশ দেখতে পাই।
আকাশের দিকে তাকাতে তাকাতে তোমাকে দেখতে পাই।
তুমি আকাশ না হলে,
আকাশটা তুমি না হলে!
আচ্ছা তুমি কে?
আমার ক্লান্ত দু’চোখ স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে নদীর দিকে ছুটে চলছে।
আমি দেখতে পাচ্ছি
তুমি দৃঢ় পায়ে হাঁটছ বয়ে চলা নদীটার মতো।
আমি অবাক হচ্ছি!
কেন অবাক হচ্ছি জান?
তোমার পায়ের মৃদু শব্দের সুর
নদীটার বুক চিরে ভেসে আসা সুর, এক-ই সুর।
আমি আলাদা করে ভাবতে পারছি না।
এতটা মিল কি করে সম্ভব?
এও কি হতে পারে?
হয়তো পারে
আর পারে বলেই সম্ভব।
আমি স্বচ্ছ নদীর জল দেখতে দেখতে,
তোমাকে দেখতে পাই।
তোমাকে দেখতে গেলেই তোমার ভেতরে নদীটা দেখতে পাই।
আমি নদীটাকে ভেবে বসি তুমি
আর তোমাকে ভেবে বসি নদী।
তবে কি তুমি নদী?
আচ্ছা তুমি নদী না হলে
তুমি কে?
শুধু-ই কল্পনা!
আমিতো কল্পনার বিস্তীর্ণ ভূমিতেও তোমার বিচরণ দেখতে পাই।
তবে কি তুমি প্রকৃতি,
নাকী প্রকৃতি-ই তুমি?
তুমি প্রকৃতি না হলে
প্রকৃতি তুমি না হলে?
আচ্ছা তুমি কে?