প্রতিচ্ছায়া
শহীদুল ইসলাম
=================
এই প্রথম
স্বপ্নে তোমায় দুচোখ ভরে দেখলাম। কল্পনাতে তোমার অবয়ব দিলাম। রং তুলি হাতে তোমার ছবি আঁকলাম। তুমি এখন পরিপূর্ণ একজন মানুষ। তোমার রূপকার আমি। এখন তোমাকে সবাই দেখছে আর জিজ্ঞেস করছে
এই ছবিটা কার, সুভদ্র লোকটি কে?
আমি বললাম চেন না একে? একে তো পৃথিবীর সবাই চেনে আর তোমরা চেন না? সবাই সমস্বরে বললো “না।” আমি বললাম,”আমাদের ভ্রান্ত চেতনার প্রতিচ্ছায়া। একে আমিও চিনিনা।” তবে এই প্রতিচ্ছায়া তোমাদেরকে সুগঠিত করবে না অবিকশিত করে রাখবে। কারন এই প্রতিচ্ছায়া কোন মানুষের না। তবে মানুষের মতো দেখতে। তবে কি ভূত? না ভূতও না। এই ছবির মধ্যে লুকিয়ে আছে হাজার বছরের বিশ্বাস, আর এ বিশ্বাসের জন্য কোটি কোটি মানুষকে প্রাণ দিতে হবে। আবার কোটি কোটি মানুষ এর ভক্ত হবে। যজ্ঞ করবে। পূজা দেবে।
মৃধা প্রশ্ন করলো “তুমি এ ছবি আঁকলে কেন?” আমি হাসলাম। আমি তো কল্পনাকে রূপ দিয়েছি। কল্পনা তো অবশ্যই নির্দোষ, তাহলে আমার ছবি আঁকার দোষ কোথায়। আমার ছবিও নিরপরাধ। পবিত্র। মৃধা তোকে কল্পনা করলে হয়তো এই ছবির স্থলে তুই থাকতি এই ছবি হয়ে।
এক হাজার বছর মৃধার ছবিটা সংরক্ষিত থাকলে মৃধা হতো বহু আর্টিষ্টের মাইল ফলক। অনেক আলোচনার মধ্যে সাধারণ মৃধাই তখন অসাধারণ হয়ে উঠত।