স্যার
শহীদুল ইসলাম
উৎসর্গ: যদ্যপি আমার গুরু হুমায়ূন কবির
অনেক অপরাধ জমে ভিতরটাতে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষত!
ক্ষমা করে দিও পারলেও স্যার;
জানি তুমি খুব ব্যথিত!
চরণ ফেলে চলো তুমি স্যার দাঁড়ালে হিমালয়।
ঝড় দাবানল প্রলয় কম্পনে অস্বস্তি অস্থিরতায়!
দেখেছি তোমায় স্যার
তুমি কতটা অধৈর্যে স্থির!
দেখেছি তোমায় স্যার তুমি কতটা ধৈর্যশীল।
ভাবতে গেলে শিউরে উঠি
ধৈর্য সহ্য অধ্যবসায়ে করতে চেয়েছ মানুষ।
ছাত্ররা তোমার মানুষ হয়নি হয়েছে অন্যকিছু।
বড় অফিসার তোমার ছাত্র;
প্রধান মন্ত্রীটাও।
নোবেল প্রাইজ পেয়েছে যেটায়
সেটাও তোমারি আবিস্কার।
গর্বিত চোখে তুমি দেখছো যাদের স্যার।
আমলা মন্ত্রী রাষ্ট্রপতি হয়েছে ঠিকি তবু রয়ে গেছে কুলাংগার।
জানি তুমি ওদের ছেলে মেয়ে নাতি তাও পড়াবে।
বরাবর করে নেবে মানুষ করার পণ।
ওরাও ঠিক
অধম হবে না; উত্তম হবে।
সংশয় যাতনা ছেড়ে
তাকিয়ে দেখ সমাজের দিকে
নষ্ট নোংরা বেড়েছে যেভাবে
আগাছা যতটা বাড়ে।
স্রোতের বানে শ্যাওলা পঁচা আবর্জনা যায় ভেসে।
শুধু তুমি স্যার হিমালয় হয়ে দাঁড়িয়ে উঁচু শিরে।
উপাসনালয় ভেঙে চুরে পরে
ঘরের খুঁটিটাও;
সময়ের ব্যবধানে অচেনা তুমিও হও।
চাওয়ার ছিল না সেদিনও কিছুই
আজো চাওয়ার নেই।
যা ছিল চাওয়ার আমার জন্য
আমি যেন মানুষ হই।
কালো ফ্রেমের চশমাটা আর
হিরো সাইকেলটাও আছে
হয়তো একদিন থাকবে না এসব
থাকবে না তুমিও।
গুনে গুনে সময় যাচ্ছে চলে
এলোমেলো বাঁকা সড়ক;
ঝড় হাওয়া অথবা নিস্তব্ধতার ভিতর দিয়ে।
শুধু থেকে যাবে আদর্শগত গুনবাচক বিশেষ্য।
আর দুচোখ ভরা সমাজ বদলের স্বপ্ন।
যা চেয়েছ হইনিগো তা
হয়তো তারো অধিক হয়েছি
মানুষ করতে চেয়েছিলে সেটাই আজো হয়ে উঠতে পারিনি।
ক্ষমা করে দিও পারলেও স্যার
জানি তুমি খুব ব্যথিত!
হারমুনিয়ামে সাজানো যে সুর
করুণ রাগে বাজে
ব্যাথা ভরা বাণী, অপরাহ্ণেও বুকের ভিতর একলা একা সাজে।
এমন ক্ষনে
তুমি যেন স্যার; পরিশুদ্ধ ব্যাথা!
ব্যাথার অবসাদে; সামান্যতম
তুমিই যথেষ্ট উপশম।
অনেক অপরাধ জমে ভিতরটাতে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষত!
ক্ষমা করে দিও পারলেও স্যার
জানি তুমি খুব ব্যথিত!