মাগো,ওরা বলে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ‘কুমড়ো ফুলে ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা, সজনে ডাঁটায় ভরে গেছে গাছটা, আর, আমি ডালের বড়ি শুকিয়ে রেখেছি— খোকা তুই কবে আসবি! কবে ছুটি?’ চিঠিটা তার
আপীল রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কারো আছে জমিদারী, কেহ বা উপাধিধারী, বাঙ্গালা বিহারে মোরা যত কিছু ধারী, সকলে মলিয়া এই আবেদন করি। প্রাণের মরি সেও ভাল, শতবার মৃত্যু ভাল, লাঙ্গুল-বিরহ কিন্তু
আজিকার শিশু বেগম সুফিয়া কামাল আমাদের যুগে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলা তোমরা এ যগে সেই বয়সেই লেখাপড়া কর মেলা। আমরা যখন আকাশের তলে ওড়ায়েছি শুধু ঘুড়ি তোমরা এখন কলের
রসাল ও স্বর্ণলতিকা মাইকেল মধুসূদন দত্ত রসাল কহিল উচ্চে স্বর্ণলতিকারে – শুন মোর কথা, ধনি, নিন্দ বিধাতারে। নিদারুণ তিনি অতি; নাহি দয়া তব প্রতি; তেঁই ক্ষুদ্র-কায়া করি সৃজিলা তোমারে।
বনলতা সেন জীবনানন্দ দাশ হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে, সিংহল সমুদ্র থেকে আরো দূর অন্ধকারে মালয় সাগরে অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে সেখানে ছিলাম আমি;
জোনাকিরা আহসান হাবীব তারা- একটি দু’টি তিনটি করে এলো তখন- বৃষ্টি-ভেজা শীতের হাওয়া বইছে এলোমেলো, তারা- একটি দু’টি তিনটি করে এলো। থই থই থই অন্ধকারে ঝাউয়ের শাখা দোলে সেই- অন্ধকারে
উত্তম ও অধম সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কুকুর আসিয়া এমন কামড় দিল পথিকের পায় কামড়ের চোটে বিষদাঁত ফুটে বিষ লেগে গেল তাই। ঘরে ফিরে এসে রাত্রে বেচারা বিষম ব্যথায় জাগে, মেয়েটি তাহার
স্বাধীনতা তুমি শামসুর রহমান স্বাধীনতা তুমি রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান। স্বাধীনতা তুমি কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো মহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা- স্বাধীনতা তুমি শহীদ মিনারে অমর একুশে
আসমানী জসীম উদ্দিন আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও। বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি, একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি। একটুখানি হাওয়া
সোনার তরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা। কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা। রাশি রাশি ভারা ভারা ধান কাটা হল সারা, ভরা নদী ক্ষুরধারা খরপরশা। কাটিতে কাটিতে ধান