অনিন্দ্য সুন্দর
শহীদুল ইসলাম
অন্ধ গলি পেড়িয়ে যখন হাঁটতে থাকবে
আলোর সন্ধানে।
ভোরের আলোয়, ফোঁটা ফোঁটা জমা
চিকচিকে শিশির
হিরের ন্যায় জ্বলতে থাকবে।
তোমার জীবন জুড়ে তুমি হয়ে উঠবে
অনিন্দ্য সুন্দর।
তুমি চোখ তুলে তাকাতেই দেখতে পাবে
সমাজ, সভ্যতার ময়লা স্রোত
তোমাকে পেড়িয়ে বাস ট্রাকের মতো এদিকে সেদিকে ছুটে যাচ্ছে।
তুমি ল্যামপোস্ট হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছো।
সমাজ সভ্যতা কতটা রোগাক্রান্ত!
হসপিটালে দির্ঘকাল ধরে
অষাঢ় হয়ে আছে বিপ্লব।
কাপুরুষ সুপুরুষ মহাপুরুষ
অসভ্য দৃষ্টি ও নোংরা হাতের ইশারায়
তোমার শরীরকে চিহ্নিত করছে।
আদি পাপ তুমি ও তোমার শরীর
তোমার খোলা চুল,
মুক্ত হাওয়ায় উড়তে দেখে,
তোমার উপর দিয়ে পর্দা টেনে ঢেকে দিতে উদগ্রীব,
নিভিয়ে দিতে উদ্যত তোমার ভিতরের ঐ দীপ্ত তেজস্বী আলোক কণাকে।
তোমাকে ও তোমার অস্তিত্বকে ঘোষণা দিচ্ছে
তুমি মৃত তুমি অষাঢ়।
তোমার হাঁটা, চলা, দৌড়বার মতো বিশাল পৃথিবীতে
কোন দেয়াল ছিলো না
কোন বাঁধা ছিলো না
অথচ
অসম্ভব বড় দেয়াল উঠে গেছে
তোমার জীবন হয়ে উঠছে
এক আঁধার নগরী।
তুমি ধীরেধীরে সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছ।
তুমি বলতে তোমার থেকে তুমি ক্রমান্বয়ে আলাদা হয়ে যাচ্ছ।
যেন তোমার মাঝে তুমি নেই।
তোমার মাঝে জীবন বলতে যা বোঝায় তা চারদেয়াল।
তুমি যখন দেয়াল ভেঙে রাস্তায় দাঁড়াবে
আর আঙুল তুলে
কাপুরুষ, সুপুরুষ, মহাপুরুষের স্তম্ভ মিনার লক্ষ্য করবে
দেখবে নিমিষেই সেগুলো ভেঙে চুরে সমতট হয়ে যাচ্ছে।
তোমার খোলাকেশে দারুন ঝড় উঠবে
হাজার বছরের অবরুদ্ধ ঝড় ধেয়ে আসবে
হঠাৎ
তুমি দেখতে পাবে
তুমি মুক্ত তুমিই মুক্ত একটা পৃথিবী।
হাজার শতাব্দী
হসপিটালে পরে থাকা তুমিই বলে উঠবে
অসুস্থ শরীরে এতদিন ঘুমিয়ে ছিলাম।
আজ যার পুরোটাই সুস্থ।
তুমিই হবে একমাত্র সুন্দরতম বিশুদ্ধ ও অপূর্ব সুন্দর।