অরাজকতা
আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার
বৃথা বলা শিক্ষার কথা,অতি শিক্ষিত সমাজে,
মায়ের কাছে মাসিকে চেনানো যেমন না সাজে।
মূর্খকে বোঝানো যায়,বুঝদার নাহি বোঝে,
মনুষ্যত্ব বিলুপ্ত আজ,মানুষ তবু কে খোঁজে?
বড়লোক কারে বলে,কে বা তা জানে?
ভরি ভরি মালামাল, তাকেই তো মানে।
কেউ না খেয়ে মরলে আমার কি ভাই?
রোজ রোজ আমার মেনুতে পোলাও,কোর্মা চাই।
তেলা মাথায় তেল দিতে, পিছে পিছে ছোটে,
অন্যকে বঞ্চিত করে খায় চেটে পুঁটে।
রাঘব বোয়াল সব হা করে থাকে,
গো-গ্রাসে গিলে খায়,যা মুখে ঢোকে।
বোকারা ফালতু ফাল পাড়ে,জ্ঞানী ফেলে দীর্ঘশ্বাস,
পুকুর চুরি করে রাতারাতি রাজহাঁস, কুঁড়েঘরের পাতিহাঁস।
গোডিমওয়ালা শিশুরা বুক ফুলিয়ে চলে,
অন্যায় ধরলে বলে,আমি কিন্তু অমুকের ছেলে।
গরু মেরে জুতো দান,কেউ চায় করতে,
আয়োডিনযুক্ত লবণ কেনে,কাটা ঘায়ে ছিটাতে।
গাছে তুলে দিয়ে হায়,কেড়ে নেয় মই,
দেখে সবাই মজা নিই,কেউ প্রতিবাদী নই।
বড় বড় চেয়ারে,সাধুবেশী চোর,
আইনের ব্যবচ্ছেদে ফাঁসিতে ঝোলে ঘটি চোর।
নিরেট মূর্খ সব বসেছে উচ্চ আসনে,
মহাজন মানে আজ পটু যারা শোষণে।
আম খেয়ে পুকুরে ফেলেছে তার আঁটি,
তাই নিয়ে বাবাগো!কি মাথা ফাটাফাটি।
ছাগল খেয়েছে শাক,চাচা তাই বোলে–
ফেলেছে তার মালিককে মামলার জাঁতাকলে।
মা গো তোর—
জ্যোৎস্নার আলোর মত মুখটি ছিল,ছিল দীপ্তিমান হাসি,
কুলাঙ্গারদের পদাঘাতে সে হাসি আজ বাসি।