নিষিদ্ধ গল্প
শহীদুল ইসলাম
একটা চিঠি লিখবো
কিন্তু কার কাছে?
প্রিয়তম বাল্যখেলা প্রেমিকার কাছে?
সেই উদাস দুপুর, ক্লান্ত বিকেল পুঞ্জীভূত সজীব অভিমান।
এতটা দিন এভাবে সেভাবে গেল
প্রিয়তম ভুলতে পারিনি
চিকচিকে স্বচ্ছ সদ্য আনকোরা দিগন্ত জুড়ে স্বপ্নের উচ্ছাস হাতে হাতটি রেখে হেঁটে আসা আর মুখোমুখি দাঁড়ান।
তুমি সেই আছ
যে ভাবে এলে।
যে ভাবে ছিলে।
যে ভাবে গেলে।
টলমলে ছোট দিঘির জলে সাঁতরে ফেরা সেই তুমি প্রিয়তম সাঁতরে বেড়াচ্ছ।
যে ভাবে ঘুরে ফিরে বেড়াতে লুকোতে বুকের অন্তঃগহ্বরে।
প্রিয়তম
একটা মাত্র তোমার তিলের দিকে তাকিয়ে কাটিয়েছি অজস্র শতাব্দী
আজো তাকিয়ে আছি আর দেখছি তোমার তোমাকে।
আমি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পরি,
ঘুমের ঘোরেও দেখি,
আর তোমার আসা যাওয়ার শব্দ শুনি।
তুমি খোলা কেশে দাঁড়াতেই প্রকৃতির রূপ মেখে গোলাপ হয়ে উঠছ।
আমি চোখ ফেরাতে পারিনা,
অন্ধাকারেও না।
শুধু তোমাকে দেখছি প্রিয়তম আর ইচ্ছে করছে তোমার নামে গদ্য পদ্য উপন্যাসে তোমার হাসির আভা ছড়িয়ে জানিয়ে দেই তুমি আছ নীরবে জ্যোৎস্নার আলিঙ্গনে।
একটা চিঠিতে সব শব্দেরা স্থান পাবে?
প্রিয়তম এক উপন্যাসে শুধু নয় হাজার বছর ধরে লিখে যাওয়া উপন্যাসে বাকি থাকে অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ ইতি কথা।
এক জনমে
যা প্রকাশ করা অসম্ভব!
শব্দেরা নিঃশব্দে পরে থাকে।
কাঁদে আর ভেতরে ভেতরে দুঃখের চরকা কাটে আর হাঁটতে থাকে জীবনের উদ্যানে।রঙিন কাব্যান্তরালে একটাই শব্দ স্পষ্ট ভালোবাসী।
একটা বাক্যই প্রধান আজো ভালোবাসী এবং তোমাকেই ভালোবাসী।
প্রিয়তম চিঠিটা তোমার কাছে লিখবো তুমি কি পড়বে?
তুমি কি ডাক পিয়নের ডাকে সাড়া দেবে?
তুমি কি ভাববে এখনও কেউ একজন আমাকে ডাক পাঠাতে পারে,
সেই চেনা নামে?
সেই চেনা নীল খামে?
তুমি কি হঠাৎ চমকে উঠবে না?
আর অনুমান করবে না।
কে লিখতে পারে?
কে পাঠাতে পারে?
এ চিঠি কার চিঠি?
নাকী তুমি বলবে ইলেকট্রিকের যুগে চিঠি লেখা বেমানান।
এসব গর্দভেরা লিখে।
তুমি বিশ্বাস করো
এতটা আধুনিক যুগ
এতটা ইলেকট্রিক যুগ আমি চাইনি,
যে যুগে ভালোবাসার গল্প হবে নিষিদ্ধ গল্প।