অপেক্ষা
শাহনেওয়াজ উজ্জ্বল শিশির
আমি আজো আছি তার অপেক্ষায়
খুঁজে বেড়ায় তার ক্লান্ত পথিক বেশে
পাহাড়, পর্বত,নদ- নদী গিরিপথ গ্রামের পরিবেশে।
ক্লান্ত দেহ যখন পাই না তার দেখা
দেহটা শীতল করতে সমুদ্রের কূলে বসি একা।
সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে ঢেউ মিতালি করে সিংহের মতো গর্জন করে
তখন আরো প্রেম ময় আবেগ হৃদয়ে শিহরণ জাগে।
আমি খুঁজি তার পায়নি আজো তার দেখা।
গ্রাম, শহর ঘুরে ক্লান্ত সর্ব কায়া মন।
বিবেক জাগ্রত নীল কষ্ট
আমি তার খুঁজতে খুঁজতে আজো পথ ভ্রষ্ট।
অনেক ঘুরেছি আমি দেশ হতে দেশান্তর
আমার জীবন এখন অন্ধকার কারাগার।
এ অন্ধকার কারাগারে কেউ আসবে কি প্রদীপ জ্বালাতে?
কবে আসবে তুমি?
আমি আজো আছি তোমার অপেক্ষায়।
তোমার টানা টানা চোখ, গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট।
কাজল কালো আঁখি পরীর মতো বেশ
খোঁপা ভরা ভরপুর কেশ,হৃদয়ে পরিপূর্ণ প্রেম,
হাত ভরা চুড়ি, পায়ে নূপুরের নিক্কণ শব্দ
আমার মনকে আবার তোমার ভালো বাসায় সতেজ করে তুলবে।
সবুজ বৃক্ষ পানির অভাবে নিস্তেজ হয়ে পড়ে,
সবুজ গাছের গোড়ায় একটু পানি পেলে আবার সতেজ হয়
আমিও সতেজ হবো তোমার বুক ভরা ভরপুর ভালোবাসায়।
কবে দিবে দেখা, কবে দিবে দেখা?
তুমি আসো প্রতিনিয়ত স্বপ্নে আমার বিছানায়।
স্বপ্নে নয়;
সত্যি তুমি কবে আসবে?
আমি আজো আছি তোমার অপেক্ষায়।
দিনের শেষে চারিদিকে কর্মময় পৃথিবীর শব্দ গুলো স্হগিত হয়।
পাখ- পাখালি ফিরে নীজ ঠিকানায়
সারাদিন ক্লান্ত হয়ে নীড়ে ফিরে
পাখ- পাখালি ভালোবাসার খুনসুটি করে।
সকলের ঘরে সন্ধ্যার প্রদীপ দেওয়া হয়
আমার মনের ঘরে তখন একাকিত্ব বসবাস করে।
হৃদয়ের শিরা উপশিরা গুলো নীল কষ্টে পীড়া দেয়।
কেন জানো শুধু তোমার অপেক্ষায়?
তুমি আসবে, তুমি কবে আসবে?
মহেশপুর, ঝিনাইদহ