১. একদিন তুমি-আমি বৃষ্টি— উচ্ছলতা ছড়াবো মাটির শরীরে‚
একদিন শত জোনাকির মাঝে বসেও আমরা কেউ অদ্ভুত সুন্দর আলো ছড়ানো জোনাকিদের গুরুত্বই দেবো না।
তোমার বন্ধুদের আড্ডায় আমার অনুপ্রবেশ তোমার স্থানপরিবর্তনে পুলকিত করবে একদিন‚
একদিন হুট করেই দেখা হয়ে যাবে চেনা জুতোর চেনা পদচিহ্নে।
একদিন তুমি-আমি আর একা দাঁড়কাক ছাড়া পুরো শহর অসার‚
এ শহর পুরোটাই আমাদের দখলে‚ পুরোটাই অভিসার।
২. একদিন তোমার ছেড়ে যাওয়া শহরে আমার স্মৃতিরা তোমাকেই ঘিরে থাকবে।
সকালবেলার জলখাবার খেতে ভুলে যাবো না রোজকার মতো‚
এই যে দেখছো অগোছালো ভাব‚ কতকিছুতেই কম মনোযোগ এসবের কিছুই থাকবে না একদিন।
তোমার প্রতি আমার অগাধ তন্ময়তা একদিন এই আমাকে মনে করিয়ে দেবে।
হঠাৎ বসন্ত এলে আমার সৌরভ তোমাকে ঘিরে থাকবে; তবে আড়ষ্ট করবে না।
তোমার তন্দ্রাচ্ছন্ন বিকেলে আমার চিন্তা তোমাকে ঘুমাতে বাধা দিতে পারে অবলীলায়।
আমার অবদমিত ইচ্ছেরা তোমাকে আজও ছুঁতে পারিনি; সেদিন পারবে।
কথা দিলাম‚ আমাকে ছুঁতে হলে তোমাকে আকাশ ছোঁয়া লাগবে একদিন।
আমার এই শব্দের দল যদি তোমায় ছুঁয়ে যেত কভু‚
বসন্ত-স্বরূপ প্রেমে ছুঁয়ে দিতাম‚ সবটা জানে প্রভু।
— দ্বৈতসত্তা
— আল শাহারিয়া