জাতিস্মর প্রেম
আল শাহারিয়া
প্রিয় আকাশী‚
এই ছন্নছাড়া জীবনে জানাই স্বাগত তোমায়‚
এই নশ্বর জীবন এলোমেলো বিনষ্ট বোমায়।
কৃষ্ণচূড়ায় রাঙা পথে হেঁটে তুমি আমার জীবনে আসতে পারবে না। তোমার এই আগমনে আমি দিতে পারিনি শীতল বটছায়া। তুমি বরং কালো মেঘে ঢাকা আকাশের নিচ দিয়ে টুকরো কাঁচ-শয্যার মধ্য দিয়ে এসো আমার জীবনে‚ যদি আসতেই হয়। যদি গোছাতেই চাও আমাকে একবিংশ শতাব্দীর কোনো সুদর্শন পুরুষের মতো তবে তোমাকে আসতেই হবে‚ প্রিয়তমা।
গত জন্মের প্রেমিকার সাথে জীবনের আয়োজন করতে করতে প্রেমটাই মিলিয়ে গেল শূন্যতায়। একসাথে বাঁচা হলো না অনন্তকাল। কিন্তু‚ ততদিনে আমি ভেঙেচুরে নতুন মানুষ এক। মরু পথিকের বেশে পথ হারানো আমি হাঁটছি পথ এক মরীচিকা প্রহরে। সেই প্রেমিকা আমাকে আকাশ দিয়েছিলো। পুরোটা আকাশ। শুধু মেঘগুলো নিজের করে গুমোট প্রেমে আমার জীবন মাতিয়ে রেখেছিলো এক অজানা অপ্রাপ্তিতে। দিন বদলেছে‚ আমি বদলে নিয়েছি ব্যক্তিগত গন্তব্য কিন্তু আমার কবিতারা আজও সেই প্রেমিকার বাড়ির স্পষ্ট শিমফুলের আশেপাশে ভালোবাসার অবরোধে ব্যস্ত সময় পার করে।
অঝোর শ্রাবণে তোমাকে নিয়ে আমি খোলা আকাশের নিচে খালি পায়ে হাঁটতে পারবো না‚ ছুঁতে পারবো না ওষ্ঠ তোমার। এসবের অধিকার আমি গত জন্মে কাউকে দিয়ে এসেছি।
আমার এই জন্মে ‘বিথোফেন’-এ কান পেতে সময় কাটাতে পারবো না। ‘মহিনের ঘোড়াগুলি’-ও অসহ্য লাগে ইদানীং। এর সুস্পষ্ট নাম ‘ভাল না থাকা’।
আমার প্রেম অনন্ত‚ জাতিস্মর!
ইতি‚
যে নামে ডাকবে আমি সে-ই!