সকাল – সন্ধ্যা
আল শাহারিয়া
উদীচীর শিয়রে এসে সায়াহ্ন জমেছে
উপমা কবিতার পসরা বসেছে
কুজ্ঝটিকায় চারিপাশ শুভ্র অন্ধকার
নিশ্চল আকাশে মেঘে-রাও চুপ।
অযথা ঘনঘটায় মিলিয়ে ভালোবাসা,
ক্লান্ত সন্ধ্যায় ক্লান্তির ক্লান্ত ডানা
অমোঘ অনুরোধে নিত্য নিরব
ঝিঝি-রাও দিয়েছে নিরবতায় ডুব।
দুঃসহ বেদনা বেঁচে আছে অবয়ব শরীরে
মৃত্যুর সমঝোতা জেগে আছে সমঝোতা স্মারকে
সংকীর্ণ বাতায়নে এসে থেমে গেছে হিমেল বাতাস
আমি শীত তৃষ্ণায় করছি অগ্নিস্নান।
নীমিলিত চোখ মেলে দেখি আধার গ্রাস করেছে সব
সান্ধ্য মাধবীলতার গন্ধ আসে নাকে
ছুঁতে গিয়ে হারিয়ে ফেলি বিস্মৃত বাঁকে
সহস্র বিস্মৃত কবিতা হারিয়েছিলাম যেথায়।
প্রেয়সী তুমি চাইলেই এনে দিতে পারো শীতল বাতাস
আধারের বুক চিরে একজোড়া তুষার চোখ।
মুছে দিতে পারো নিরবতা সব
বিলীন করে দিতে পারো এই কৃষ্ণ কূপ।
এনে দাও এই তৃষ্ণার্ত শরীরে অবাধ্য জলপ্রপাত
এক আকাশ জোৎস্না প্লাবিত রাতে জোনাকির আলাপন
অচেনা শহরে নিরবে হারিয়ে যাওয়া প্রেম
অতলান্তিক নিশ্চয়তায় ভরা ভালোবাসা।